তিনদিন ধরে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে ছোটাছুটি। খোঁজ চলছিল মাইলস্টোনের জুনিয়র শাখার ছাত্রী ওকিয়া ফেরদৌস নিধির। অবশেষে ছুটি পেয়েছে সে, বাবা মো. ফারুক হোসেন ও মা সালমা আক্তারসহ স্বজনদের কাছে ফিরেছে নিধি। তবে যেভাবে সে ফিরেছে সেটি কোনোভাবেই চায়নি কেউ।
ডিএনএ টেস্টের পর শনাক্ত হয় নিখোঁজ মাইলস্টোন ছাত্রী নিধির মরদেহ, রাতে স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।
গত ২২ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সদস্যদের মধ্যে প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে ৫টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকা সিএমএইচের মর্গ থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে নিধি, প্রিয়া, রাইসা, আফিয়া ও সোনিয়ার লাশ একে একে হস্তান্তর করা হয়।
তিনদিন পর সন্তানের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।
এদিকে ক্ষত নিয়ে এখনও হাসপাতালে কাতড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক শিশু। এর মধ্যে ৪৪ জনই জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিন মাহতাব রহমান ও মাহিয়া নামের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বার্ন ইনস্টিটিটিউটে।
দগ্ধদের চিকিৎসা সহায়তায় বুধবার রাতে ভারত থেকে আসেন চারজনের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকালে তারা বৈঠক করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে। জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে রাতে ঢাকায় আসছেন চীনের চিকিৎসক দল।